ঢাকা,বুধবার, ৮ মে ২০২৪

প্রতিদিন বাড়ছে আগ্রহীদের ভিড়

চকরিয়া হাসপাতালে পাঁচদিনে করোনা টিকা নিয়েছেন ১৩১৪ নারী-পুরুষ

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  সারাদেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সাড়ে ৬ লাখ জনগনের সুরক্ষা নিশ্চিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কার্যক্রম উদ্বোধনের প্রথমদিনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদুল হক এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ শাহ ফাহিম আহমদ ফয়সালসহ মোট নয়জন করোনা যোদ্ধা (হসপাতালের কর্মকর্তা,কর্মচারী) কোভিড-১৯ টিকা গ্রহন করেছেন।

চকরিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ শাহ ফাহিম আহমদ ফয়সাল  চকরিয়া নিউজকে বলেন, কার্যক্রম শুরুর দিন থেকে বুধবার পর্যন্ত চারদিনে হাসপাতালে এসে চকরিয়া হাসপাতালে ৪দিনে করোনা টিকা নিলেন ৬০৭ নারী-পুরুষ। তদমধ্যে প্রথমদিন (৭ফেব্রুয়ারি) কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন গ্রহন করেছেন ৯ জন, ২য় দিন ৮ ফেব্রয়ারী নিয়েছেন ৪২ জন, ততৃীয়দিন ৯ ফেব্রুয়ারী টিকা নিয়েছেন ২১২ জন, বুধবার ১০ ফেব্রুয়ারী টিকা গ্রহন করেছেন ৩৪৪ জন। আর সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ১১ ফেব্রুয়ারী টিকা গ্রহন করেছেন ৭১৭ জন।

হাসপাতালের আরএমও ডাঃ শাহ ফাহিম আহমদ ফয়সাল বলেন, এই পর্যন্ত চকরিয়া হাসপাতালে সরকারিভাবে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন পাওয়া গেছে ৫ হাজার ডোজ। ৭ ফেব্রুয়ারী ক্যাম্পিং শুরু হয়ে চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ডোজ শেষ না হলে পরবর্তীতে সরকারি নির্দেশনার আলোকে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধা। তাদের মধ্যে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক এবং শিক্ষকরা। বর্তমানে হাসপাতালে প্রতিদিন টিকা নিতে আগ্রহ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতাল থেকে টিকা নিয়েছেন কক্সবাজার-১ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলম, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী ছাড়া একাধিক জনপ্রতিনিধি। অন্যদিকে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে বুধবার টিকা গ্রহন করেছেন পালাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা স্থানীয় সাংসদ জাফর আলমের সহ-ধর্মীনি আলহাজ শাহেদা জাফর। অপরদিকে বুধবার উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার নারী জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে প্রথম করোনা টিকা নিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জেসমিন হক জেসি চৌধুরী। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদুল হক এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ শাহ ফাহিম আহমদ ফয়সালসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরিজ চকরিয়া নিউজকে বলেন, উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সাড়ে ৬ লাখ জনগনের সুরক্ষা নিশ্চিতে সারাদেশের মতো চকরিয়া উপজেলাতেও কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে সর্বসাধারণকে টিকা গ্রহণে উদ্ভুদ্ধ করতে আমরা কার্যক্রম উদ্বোধনের প্রথমদিনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদুল হক এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ শাহ ফাহিম আহমদ ফয়সালসহ মোট নয়জন করোনা যোদ্ধাকে কোভিড-১৯ টিকা দিয়েছি। পরবর্তীতে টিকা নিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ জাফর আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী। সর্বশেষ টিকা নিয়েছেন উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী।

তিনি বলেন, আশাকরি উপজেলাবাসি টিকা প্রদানে উৎসাহিত হবেন এবং উপজেলা হাসপাতালে এসে রেজিষ্ট্রেশন করবেন। টিকা গ্রহণের মাধ্যমে নিজ ও পরিবারকে সুস্থ রাখবেন। আমরা পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল ইউনিয়নের সাথে আমরা ধাপে ধাপে করোনা ভ্যাকসিন বিতরণ কার্যক্রমে যুক্ত হবো।

 

পাঠকের মতামত: